প্রেক্ষাপট
- ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে মহামারী শুরু হয়; সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি’ ২১- খানিকটা ধীর গতি সম্পন্ন হয়
- মার্চ ’২১ থেকে আবার ২য় ঢেউ আছড়ে পড়ে
- বিনিয়োগ-উৎপাদন-কর্মসংস্থান-ভোগ: অর্থনীতির এই স্বাভাবিক চক্র মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে
- অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য চলতি অর্থ বছরে (২০২০-২১) বড়-মাঝারি-ছোট-ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকার মোট ২১ ধরণের “প্রণোদনা প্যাকেজ” চালু করা হয়েছে
- এ বছর জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ২য় আরেকটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে
- দরিদ্র্য ও নিম্নবিত্তদের জন্য নানা ধরণের ক্যাশ-ননক্যাশ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে
- কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
- রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে
দারিদ্র্য বেড়েছে
- প্রায় ৭ কোটি মানুষ বা ১ কোটি ৭০ লক্ষ পরিবার এখন দারিদ্র্যসীমান নীচে চলে গেছে
সরকার ও জনগণ: ভাবনা-দুর্ভাবনা
২০২১-২২ বাজেটে অগ্রাধিকারমূলক কাজ
- সকলের জন্য কোভিড টিকা ও কোভিডজনিত জরুরি চিকিৎসা সেবা (জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সুবিধা) নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা ও কৌশল পেশ করা।
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও গভীরতা বৃদ্ধি করে আগামি ৬ মাস সকল দরিদ্র ও নতুন দরিদ্র গ্রামীণ পরিবারকে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা ও শহুরে পরিবারকে ৮০০০ টাকা করে ক্যাশ সাপোর্ট দেয়া।
- প্রতিবন্ধী, দলিত, আদিবাসী এবং অন্যান্য অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও অগ্রাধিকার ।
- শ্রমজীবির সুরক্ষায় ‘শ্রমকল্যাণ তহবিল’ বৃদ্ধি ও ব্যবহার, কোভিড টিকা এবং কর্ম নিরাপত্তায় আইনী সুরক্ষা।
- কৃষিপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ চেইন সচল রাখা, কৃষক পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য ও ঝুঁকিপূর্ণ/ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তায় কর্মকৌশল।
- মহামারিকালে দরিদ্র, মধ্যবিত্তের আর্থিক বোঝা কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তাদের আয়কর, ভ্যাট ও বিদ্যৃৎ-পানি-ইন্টারনেট-গ্যাসের ফি কমিয়ে আনা।
- প্রকল্প বাজেটের অবাস্তব প্রাক্কলন রোধ, সরকারি ক্রয়ে দূর্নীতি কমিয়ে এবং মহামারিকালে উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় সীমিত/ পুনর্বিন্যাস করে অর্থের সংস্থান করা।
মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে কাজ
সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো
- সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা
- সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (Universal Pension Scheme)
বাজেট প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সকল স্তরে জনঅংশগ্রহণ
- ´জনগণ, নাগরিক সমাজ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংসদসদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
- ´ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও দূর্নীতি/ স্বজনপ্রীতি রোধে স্বাধীন মনিটরিং ব্যবস্থা।
- ´বাজেটের অর্থব্যয়ের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রিকরণ। জেলা বাজেট পুন: প্রচলন করা।
´