Saturday, Mar 11, 2023
সবার জন্য বাজেট, সবাই মিলে বাজেট
‘সবার জন্য বাজেট, সবাই মিলে বাজেট’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের দুই দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় সম্মিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে। ২৬ ডিসেম্বর,২০১৪ ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-এর মাধ্যমে সম্মিলনের কার্যক্রমের সূচনা হয়। এই সম্মিলনে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের ত্রিশটি জেলার জেলা-প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন থিমেটিক গ্রুপের প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। উল্লিখিত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-এ সম্মিলনের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষিত আলোচনা করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারন স¤পাদক, আমানুর রহমান। এ সভার সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ।
সভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচির সাথে জেলা বাজেট ও বিকেন্দ্রীকরণ, সংসদসদস্য ও জননীতি এবং খাত ও জনগোষ্ঠী ভিত্তিক বাজেট নামে ৩টি টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। যার উপর ভিত্তি করে আগামী ২ বছরের বাজেট আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখিত টাস্কফোর্স তিনটিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য সম্মিলনে উপস্থিত জেলা কমিটির নেত্রীবৃন্দকে তাদের কর্ম অভিজ্ঞতা ও আগ্রহের ভিত্তিতে উক্ত টাস্কফোর্সে নাম দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর জাতীয় সম্মিলনের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক শুরু করে। সকল জেলা কমিটি ও বিভিন্ন থিমেটিক দলের অংশগ্রহনে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। আয়োজক দলের পক্ষে জাভেদ খালিদ জয় ও রাশেদ ইবনে ওবায়েদ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর একে বক্তব্য প্রদান করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। হাসিনুল হক চুন্নু, নারী নেত্রী ফিরোজা বেগম ও প্রাক্তন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম শেখ তাদের বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর আসগর আলী সাবরী আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মানবিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রায়নের সম্ভাবনা বিষয়ে আলোকপাত করেন। তার আলোচনায় বিগত ৭ বা তারও অধিক সময়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দেশীয় অর্থনীতিতে কর ফাঁকির মাধ্যমে নেতিবাচক অবস্থার চিত্রটি ফুটে উঠে। তার এ আলোচনার সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত শীর্ষক আলোচনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মনোয়ার মোস্তফা। আলোচনার শুরুতে তিনি গণতন্ত্রেও ইতিহাস এবং কালের পরিক্রমায় এর বিবর্তন বিশ্লেষন করেন। মনোয়ার মোস্তফা তার আলোচনায় নিয়ে আসেন অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়নের বিষয়টিও। তবে তার আলোচনায় এটাই পরিলক্ষিত হয় যে, পিছিয়েপড়া মানুষের মুক্তি দিতে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের চর্চাই হতে পারে একটি পন্থা। মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিগণ গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-এর যথার্থতা নিয়ে তাদের নিজস্ব মতামত প্রদান করেন।
ডিনার উইথ মিটিং সেশনে প্রত্যেক জেলা কমিটি তাদের ২০১৪ সালের কার্যক্রমের আপডেট প্রদান করেন। প্রান্তিক শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গানের তালে বসে থাকতে পারেননি শ্রোতাকূল। এক পর্যায়ে শ্রোতাদের অনুরোধে মঞ্চে উঠে আসেন নির্মল ভট্টাচার্য, আসগর আলী সাবরী, ডেইজি আহমেদ ও মংলা জেলা কমিটির বাজেট কর্মী। সবার করতালে সমাপ্তি ঘটে প্রথম দিনের কার্যক্রমের।
বাজেট প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ২০০৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে। জাতীয় বাজেটের গণতন্ত্রায়ন ও বিকেন্দ্রীরণের সাথে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের বিষয়টি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। জাতীয় বাজেট প্রক্রিয়ার গণতন্ত্রায়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম পূর্বশর্ত হল স্থানীয় সরকারের পূর্ণ ক্ষমতায়ন। সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে, এবং তাদের কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সম্পদ আহরণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বা¯তবায়নে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সম্পদ, কারিগরী সহায়তা ও দক্ষ জনবল সরবরাহ করতে হবে।
শুরু হলো গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় সম্মিলন
‘সবার জন্য বাজেট, সবাই মিলে বাজেট’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের দুই দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় সম্মিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে। ২৬ ডিসেম্বর,২০১৪ ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-এর মাধ্যমে সম্মিলনের কার্যক্রমের সূচনা হয়। এই সম্মিলনে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের ত্রিশটি জেলার জেলা-প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন থিমেটিক গ্রুপের প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। উল্লিখিত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-এ সম্মিলনের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষিত আলোচনা করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারন স¤পাদক, আমানুর রহমান। এ সভার সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ।
সভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচির সাথে জেলা বাজেট ও বিকেন্দ্রীকরণ, সংসদসদস্য ও জননীতি এবং খাত ও জনগোষ্ঠী ভিত্তিক বাজেট নামে ৩টি টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। যার উপর ভিত্তি করে আগামী ২ বছরের বাজেট আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখিত টাস্কফোর্স তিনটিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য সম্মিলনে উপস্থিত জেলা কমিটির নেত্রীবৃন্দকে তাদের কর্ম অভিজ্ঞতা ও আগ্রহের ভিত্তিতে উক্ত টাস্কফোর্সে নাম দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর জাতীয় সম্মিলনের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক শুরু করে। সকল জেলা কমিটি ও বিভিন্ন থিমেটিক দলের অংশগ্রহনে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। আয়োজক দলের পক্ষে জাভেদ খালিদ জয় ও রাশেদ ইবনে ওবায়েদ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর একে বক্তব্য প্রদান করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। হাসিনুল হক চুন্নু, নারী নেত্রী ফিরোজা বেগম ও প্রাক্তন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম শেখ তাদের বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর আসগর আলী সাবরী আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মানবিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রায়নের সম্ভাবনা বিষয়ে আলোকপাত করেন। তার আলোচনায় বিগত ৭ বা তারও অধিক সময়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দেশীয় অর্থনীতিতে কর ফাঁকির মাধ্যমে নেতিবাচক অবস্থার চিত্রটি ফুটে উঠে। তার এ আলোচনার সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত শীর্ষক আলোচনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মনোয়ার মোস্তফা। আলোচনার শুরুতে তিনি গণতন্ত্রেও ইতিহাস এবং কালের পরিক্রমায় এর বিবর্তন বিশ্লেষন করেন। মনোয়ার মোস্তফা তার আলোচনায় নিয়ে আসেন অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়নের বিষয়টিও। তবে তার আলোচনায় এটাই পরিলক্ষিত হয় যে, পিছিয়েপড়া মানুষের মুক্তি দিতে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের চর্চাই হতে পারে একটি পন্থা। মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিগণ গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-এর যথার্থতা নিয়ে তাদের নিজস্ব মতামত প্রদান করেন।
ডিনার উইথ মিটিং সেশনে প্রত্যেক জেলা কমিটি তাদের ২০১৪ সালের কার্যক্রমের আপডেট প্রদান করেন। প্রান্তিক শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গানের তালে বসে থাকতে পারেননি শ্রোতাকূল। এক পর্যায়ে শ্রোতাদের অনুরোধে মঞ্চে উঠে আসেন নির্মল ভট্টাচার্য, আসগর আলী সাবরী, ডেইজি আহমেদ ও মংলা জেলা কমিটির বাজেট কর্মী। সবার করতালে সমাপ্তি ঘটে প্রথম দিনের কার্যক্রমের।
বাজেট প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ২০০৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে। জাতীয় বাজেটের গণতন্ত্রায়ন ও বিকেন্দ্রীরণের সাথে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের বিষয়টি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। জাতীয় বাজেট প্রক্রিয়ার গণতন্ত্রায়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম পূর্বশর্ত হল স্থানীয় সরকারের পূর্ণ ক্ষমতায়ন। সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে, এবং তাদের কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সম্পদ আহরণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বা¯তবায়নে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সম্পদ, কারিগরী সহায়তা ও দক্ষ জনবল সরবরাহ করতে হবে।


Recent Articles
Mar 11, 2023
Mar 11, 2023
759 Views